শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি খুবই নিম্ন ধাপের যা দ্বারা চাকরি পাওয়া খুবই দুরূহ বিষয়। এসএসসি পরবর্তী শিক্ষাজীবন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটি হয়তো আপনার জন্যই। আজকের পোস্টে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসএসসি পরবর্তী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তুলে ধরবো। এখানে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বলার মাধ্যমে মূলত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর তুলনামূলক প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করবো।
What if you start diploma in engineering after SSC?
বাংলাদেশের এসএসসি পরবর্তী শিক্ষাজীবন নির্বাচনে দুটি পদ্ধতি খোলা আছে।
১। প্রথাগত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা
২। কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা
১। প্রথাগত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা
এই ব্যবস্থায় প্রথমেই একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে ইলেভেন টুয়েলভ অর্থাৎ এইচএসসি পড়াশোনা করতে হয়। এই ধারায় লেখাপড়া করে একজন শিক্ষার্থী মূলত কোন টেকনিক্যাল কাজে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে না। তাই পরবর্তী লেখা পরা ব্যতিত ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তোলা অসম্ভব। মূল ধারার এই শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী 12 বছরের শিক্ষা জীবন শেষ করে সর্বোচ্চ 16 তম গ্রেডের চাকরিতে যোগদান করতে পারে। যা সামাজিক মর্যাদা অথবা আর্থিক দিক থেকে তেমন ভালো কিছু দিতে পারে না।
২। কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা
মূল ধারার বাইরে এই শিক্ষাব্যবস্থায় আবার দুই ধরনের ক্যারিয়ার থাকে।
ক। এইচএসসি ভোকেশনাল
খ। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
ক। এইচএসসি ভোকেশনাল
এইচএসসি ভোকেশনাল পড়াশোনা করলে ক্যারিয়ার অনেকটা মূল ধারার শিক্ষাব্যবস্থার মতোই থাকে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাই আজকাল অনেক চৌকষ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এই ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় ঝুঁকে পড়ছে।
খ। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
মূলধারা শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং। চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে একজন শিক্ষার্থী অর্জন করতে পারে হাতে-কলমে শেখার কারিগরি অভিজ্ঞতা। কারিগরি এ দক্ষতা একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অনেক গুন বাড়িয়ে দেয় এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেয় বহুগুণ। ফলে কারিগরি দক্ষতা ব্যক্তিগত জীবন গড়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এভাবে কারিগরি দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠে দেশ গড়ার কারিগর।
কারিগরি এ দীক্ষা একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারকে দশম গ্রেডে চাকরিতে যোগদানের সুযোগ করে দেয়। এছাড়া ক্যারিয়ার সচেতন শিক্ষার্থী তার পরবর্তী পড়াশোনা মূল ধারার মতোই চালিয়ে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment