Study and scholarship help center

AMIE

AMIE (Associate Membership of the Institution of Engineers) হলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) পরিচালিত প্রকৌশলে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী , মূলত আইইবির এসোসিয়েট মেম্বার হতে হলে AMIE Course (section A & B) পাস করতে হবে, আর যারা AMIE course পড়বে না তাদেরকে আই.ই.বি. অনুমোদিত বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জি ডিগ্রী নিতে হবে, পরবর্তীতে উভয়কে মেম্বাশীপ দেয়া হয়,, এটা আমার কথা নয় এটা আইইবি মেম্বারশীপ নেয়ার ক্রাইটেরিয়া ,কমনওয়েলথভুক্ত সব দেশে এই রেওয়াজ আছে,, আর সেটা পাশের দেশ ভারতের দিকে তাকালে বুঝা যাবে.........

এটা একটি প্রফেশনাল ডিগ্রী হওয়ায় প্র্যাকটিক্যাল নাই, তবে ইন্ডাসট্রিয়াল ট্রেনিং এবং বিশেষ কম্পিউটার ট্রেনিং আছে, অধ্যয়নরত বেশির ভাগই চাকুরীজীবী, বুয়েট এই কোর্সের প্রশ্নপত্র তৈরী করে, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন এবং বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, কুয়েট পরীক্ষা নিয়ে থাকে।


ভর্তির যোগ্যতা:

বিজ্ঞান বিভাগে HSC পাশ (কমপক্ষে GPA ৫.০০ এর মধ্যে ৪.০০) + ২ বছর কারিগরি জব এর অভিজ্ঞতা অথবা ডিপ্লোমা ইঞ্জি: ডিগ্রী (কমপক্ষে GPA ৪.০০ এর মধ্যে ৩.০০) ।


আইইবি মেম্বার হয়ে লাভ:


বাহিরের দেশে জব নিতে গেলে, কোন ড্রয়ই পাশ করতে গেলে, কোন প্রতিষ্ঠানে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে গেলে, ৫ তলার অধিক কোন আবাসিক/বানিজ্যিক ভবনের ইলেকট্রিক্যাল/স্ট্রাকচারাল ড্রয়ই করতে, সাবস্টেশন ডিজাইন করতে গেলে, আন্তর্জাতিক মানে ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে, নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে আইইবির মেম্বার ব্যাতীত হবে না, তবে কিছু জব বা ছোট খাট জবে মেম্বারশীপ মেন্ডাটরী নয় ।



চাকুরী:

একজন AMIE পাশ করা প্রকৌশলী বিসিএস সহ বাংলাদেশের সব সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী হিসবে চাকুরীর সুযোগ পেয়ে থাকে।


পরবর্তীতে পড়াশুনা:


১, এম এস সি ইঞ্জি: CUET, MIST, সহ দেশের অনেক সরকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ে এমএসসি ইঞ্জি পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন । 

 ২. এমবিএ - এএমআইই পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল সরকারী এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন একজন এএমআইই প্রকৌশলী । 

 ৩. পিজিডি ইন আইটি - বাংলাদেশের যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি-র উপরে ১ বছর মেয়াদী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা রয়েছে যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি, সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিজিডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ রয়েছে । 

 ৪. মাস্টার্স ইন আইটি - জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজিতে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে এএমআইই পাশ প্রকৌশলী । 

 ৫. মাস্টার্স ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম) - বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (BIBM) -পরিচালিত স্পেশালাইজড মাস্টার্স প্রোগ্রাম MBM - এ পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন এ.এম.আই.ই প্রকৌশলী । 

 ৬. দেশের বাইরেঃ এএমআইই পাসের পর ভারতের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে M.Tech (মাস্টার্স অফ টেকনোলজি)-করার সুযোগ পাওয়া যায় । ভারত ছাড়াও জার্মানি ,মালয়েশিয়া, সুইডেন, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আছে । 


লেখা: প্রকৌশলী মোবারক হোসেন
MIEB-A/ 16131

No comments:

Post a Comment

Attention Please

Purpose of this blog
Learning and Sharing is the main purposeof this site. If you find anything helpful, please, share this blog to your friends to help them.

Our FB group AMIE Help Center
Our Another Site Voltage Facts
| Designed by Colorlib